মাদারীপুরের শিবচরে নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান নাসিরের বিরুদ্ধে। ঘটনার বিচার চাওয়ায় উল্টো মারধরের শিকার হন নির্যাতিতার বাবা।
এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে অভিযুক্ত নাসিরকে আটক করেছে মাদারীপুর সদর মডেল থানার পুলিশ।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচারে নামেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাসির। এ সময় নাসিরের সঙ্গে ওই কিশোরীর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত ২১ মে সকালে বিয়ের কথা বলে এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন নাসির। এ সময় কিশোরীকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে তার পরিবার। একপর্যায়ে মেয়েটিকে ঘটনাস্থল থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে স্থানীয়দের কাছে বিচার না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তারা। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিযুক্ত নাসির।
শনিবার সকালে বিষয়টি সমাধানের কথা বলে নির্যাতিতার বাবাকে মাদারীপুর শহরের একটি আবাসিক হোটেলে ডেকে নিয়ে হুমকি-ধমকি ও মারধর করেন নাসির।
স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে নাসিরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
নির্যাতিতা ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘নাসির আমার সঙ্গে যেটা করেছে সেটা অন্যায়। আমি তার জন্য সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না। আমি নাসিরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। পরবর্তী সময়ে কোনো মেয়ের সঙ্গে সে যেন এমনটা করতে না পারে।’
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, ‘নাসির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ও মাদারীপুর ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক। এলাকায় তার অনেক প্রভাব। তাই এলাকায় বিচার চেয়েও পাইনি। উল্টো নাসির আমাকে মেরেছে। আমি নাসিরের কঠিন বিচার চাই।’
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন বলেন, 'বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। ভুক্তভোগীর পরিবার মামলা করার পরেই আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।'